১। টেকনাফ উপজেলা
- ইউসুফ রানা
- Feb 15, 2017
- 3 min read
কি কি দেখবেন ঃ সেন্টমার্টিন,ও ছেড়া দ্বীপ, সমুদ্র সৈকত, নাইট্যংপাড়া বধ্যভূমি ও বৌদ্ধ মন্দির, ম্যাথিনের কুপ (১৮৫৪), কানা রাজার সুড়ং। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হচ্ছে রাস্তার ২ পাশের ভিউটা, যেমন মেরিন ড্রাইভে এক পাশে সমুদ্র আর এক পাশে পাহাড়, তেমনি হাইওয়ের শেষ ৮ কিমি এর দৃশ্য অসাধারণ । নাফ নদী, অভয়ারণ্য, লবণের মাঠ সত্যিই অসাধারণ।

কিভাবে যাবেন ঃ ঢাকা থেকে #হানিফ, #শ্যামলী, #সৌদিয়া #এস_আলম #রিলাক্স, #তুবা_লাইন, #গ্রীন_লাইন, #বাগদাদ, #সেন্টমার্টিন_পরিবহণ ও সেন্টমার্টিন ট্রাভেল সার্ভিস এ করে টেকনাফ। ** সেন্টমার্টিন পরিবহণ আর সেন্টমার্টিন ট্রাভেল এক না, সেন্টমার্টিন ট্রাভেল এর সার্ভিস খুব বাজে রিভিউ আছে। বাস ভাড়া = ৮৫০-৯০০ টাকা
চট্রগ্রাম সিনেমা প্যালেস থেকে #এস_আলম আর #সৌদিয়ার সরাসরি বাস যায় । বাস ভাড়া = ৪০০ টাকা কক্সবাজার থেকে সরাসরি রিজার্ভ বাস বা মাইক্রো যায় । ভাড়া ১০০-১২০ টাকা । কোথায় থাকবেন ঃ–
হোটেল নে টং, টেকনাফ
০১৭১২৪৪৯৫৫৩
হোটেল হিলভিউ
রুফ টপ হোটেল
০১৮১৯৮২০৬০৮
হোটেল দ্বীপ প্লাজা
সড়ক ও জনপথ পরিদর্শন বাংলো, টেকনাফ
০১৭১১৪২২৮২৬
হোটেল মিল্কি ওয়ে
গণপূর্ত ডাকবাংলো
০১৭১১৯৩০৫৫৫
ফরেস্ট ডাকবাংলো, টেকনাফ
০১৭১১১০৬৭২৫
আয়তন: ৩৮৮.৬৮ বর্গ কিমি। অবস্থানঃ উত্তরে উখিয়া উপজেলা ( ৫৪ কিমি) দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর
পূর্বে মায়ানমারের আরাকান রাজ্য, পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর। কক্সবাজার জেলা সদর হতে ৮৬ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে টেকনাফ উপজেলা অবস্থিত । টেকনাফ সদর থেকে বন্দর ০৬ কিমি, সেন্টমার্টিন ঘাট ০৮ কিমি , শাহ পরীর দীপ ১১ কিমি, সমুদ্র সৈকত সাড়ে ৩ কিমি, উখিয়া উপজেলা ৫৪ কিমি । টেকনাফ ১৯৩০ সালে থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়।

হোয়াইক্যং, নীলা, বাহারছড়া, টেকনাফ, সাবরাং, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে টেকনাফ উপজেলা । উল্লেখযোগ্য ফল ও ফসল ঃ ধান, পান, আলু, আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, সুপারি, নারিকেল। বাংলাদেশে মাদক, অস্ত্র ও ইয়াবা চোরা চালানের জন্য বিখ্যাত টেকনাফ । সীমান্ত এলাকার ঘুরার প্রতি আমার দারুণ একটা নেশা কাজ করে । কেন জানি বারবার ঘুরে ঘুরে সীমান্ত এলাকায় চলে যায় । সাধারণত সীমান্ত এলাকার মানুষগুলো ও একটু ভিন্ন হয়। মাশা আল্লাহ ইতিমধ্য দেশের বেশিরভাগ সীমান্ত এলাকায় ঘুরা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি যেই এলাকায় ঘুরেছি সেটা হচ্ছে টেকনাফ উপজেলা । চট্রগ্রামের সাতকানিয়াতে গ্রামের বাড়ি হওয়ার সুবাদে প্রায় এই এলাকায় বেশি বেশি ঘুরতে চলে আসতাম । শুধুমাত্র বাই সাইকেলে টেকনাফ ঘুরতে আসছি ৬ বার । আর মোটর
সাইকেল আর গাড়ীর কথা না হয় নাই বললাম । সীমান্ত এলাকাগুলো সাধারণত খুব খারাপ হয়ে থাকে । কারণ এসব এলাকাগুলো দিয়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে মাদক, অস্ত্রসহ নানা ধরণের চোরা চালান সম্পন্ন হয়। তবে অন্যান্য সীমান্ত এলাকা থেকে টেকনাফ এই ক্ষেত্রে অনেক বেশি এগিয়ে । দেশে যত চোরা চালান হয় মুলত তার অর্ধেক লেনদেন সম্পন্ন হয় এই সীমানা দিয়ে । এই সীমানাটা বর্তমানে ইয়াবা চোরা চালানের জন্য বড় ট্রানজিট হিসাবে পরিচিত । এই এলাকায় আপনি ভালভাবে ঘুরে দেখলে , বাড়িঘর দেখলে মনে হবে তারা খুব অভাবী ও অসহায় । মানুষগুলো ও কেমন জানি, এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ পান খায় ও লুঙি পরে ঘুরাঘুরি করে । অথচ এই মানুষ বা পরিবারগুলি মাস শেষে আয় লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাই , ছোট বাচ্ছা থেকে শুরু করে সবাই চোরা কারবারী লাইনের সাথে জড়িত হয় । যেই বিলাসবহুল গাড়ী বা মোটরসাইকেল ঢাকায় দুর্লভ মাঝে মাঝে সেরক্ম গাড়ী ও টেকনাফ শহরে দেখা যায় । নোট ঃ টেকনাফে ঘুরতে আসলে সাধারণত ব্যবসায়ী বা স্থানীয়দের সাথে কখন ও ঝামেলায় যাবেন না । সাধারণত এখানকার স্থানীয় মানুষের ব্যবহার আপনার পছন্দ নাও হতে পারে । সাধারণত তুই তুকারি করে ব্যবহার বেশি করে । মানুষগুলো ও বেশ সুবিধার না তাই খারাপ লাগলে এড়িয়ে যাবেন, তবে তর্কে বা দাপট দেখাতে যাবেন না । টেকনাফে সাধারণত মেরিন ড্রাইভে বা উখিয়া দিয়ে ও আসা যায় । ২ টা রাস্তা খুব সুন্দর । তবে বর্তমানে মেরিন ড্রাইভের মেরামত কাজ চলতেছে, তাই উখিয়া দিয়ে গেলে ভাল ।

সর্বশেষ আপডেট ঃ ২২শে ফেব্রুয়ারী ২০১৭
Comments